শিশুদের হঠাৎ ঠান্ডা জ্বর- কাশি হলে কি করবেন!

0
সকালে গরম আর সন্ধাঅব্দি শীতল বাতাস। এ যেন শীতের আগমনী বার্তাই জানান দিচ্ছে প্রকৃতি। ঠান্ডা কিংবা গরম আবহাওয়া আমাদের শরীরের স্বাভাবিক সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে নষ্ট করে। হঠাৎ ঠান্ডা কাশি গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট হলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে।

কারণ
ঠান্ডা কাশি যে ভাইরাসগুলোর কারণে সৃষ্টি হয় তা কম তাপমাত্রায়, কম আর্দ্রতায় এবং পরিবেশ পরিবর্তনের কারণে প্রাদুভাব ঘটে বেশি। শ্বাসতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে নষ্ট করে কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট তৈরি করতে পারে। এর সঠিক চিকিৎসা না হলে সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়ে সাইনোসাইটিস, ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানিসহ নানা জটিলতা তৈরি হয়।

কাদের এই রোগের সম্ভাবনা বেশি
* যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। বিশেষ করে শিশু, কিশোর ও বয়স্ক মানুষেরা এসময় আক্রান্ত হয় বেশি।
* যারা দীর্ঘসময় অনেক মানুষের সঙ্গে বদ্ধকক্ষে কাজ করেন।
* আবহাওয়ার পরিবর্তনে যারা দ্রুত নিজেদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না।
* কিডনি,  লিভার, ডায়াবেটিক রোগসহ অন্যান্য রোগে হঠাৎ কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বেশি হয়।
লক্ষণ 
* মাথাব্যথা ও ক্লান্ত ভাব অনুভব করা। সারা শরীর ব্যথা করা।
* নাক দিয়ে অনড়গল পানি পড়া ও চোখব্যথা।
* নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া।
* কম তাপমাত্রার জ্বর অনুভব করা।
* ক্ষুধা নষ্ট হওয়া।
* হাঁচি ও সঙ্গে শুকনা কাশি।
* কাশতে কাশতে গলা ও বুকে ব্যথা অনুভব করা।
* মাঝেমধ্যে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
যা করবেন
* হাঁচি-কাশির সময় নাকে-মুখে টিস্যু, রুমাল বা হাত দিয়ে রাখবেন। যাতে ভাইরাস ছড়াতে না পারে।
* ব্যবহার করা রুমাল কিংবা টিস্যু দ্রুত নিরাপদ জায়গায় ফেলুন।
* নাক বা চোখে হাত দেবেন না।
* আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
* আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস আলাদা করে ফেলুন।
* রাস্তাঘাটে, কর্মক্ষেত্রে মাস্ক বা রুমাল ব্যবহার করুন।
চিকিৎসা 
১. মুখে-নাকে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করুন।
২. নিয়মমাফিক ভিটামিনযুক্ত খাবার, পরিমাণমতো পানি পান ও পূর্ণ বিশ্রাম নিলে এমনিতে এসব রোগের হাত থেকে পরিত্রাণ মিলবে।
৩. এমসয় বেশি করে আদা ও লেবুর চা খান।
৪. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ফার্মেসি থেকে কাশির সিরাপ বা অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়াই উত্তম।
৫. সকাল-বিকেলে কুসুম গরম পানিতে গড়গড়া করুন।
৬. অনেক সময় ভাইরাসঘটিত ঠান্ডা কাশি থেকেই সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়। তাই অবস্থা বেশি সিরিয়াস মনে হলে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ঔষুধ খান।
৭.সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হল একজন ভাল হোমিও চিকিতসকের পরামর্শ নিন। কারন হোমিও ঔষধ শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য খুবই কার্যকারী। 
ডাঃ এস কে দাস
ডিএইচএমএস(হোমিও)
চেম্বার- দর্শনা

Post a Comment

0 Comments
Post a Comment (0)
To Top