ডায়াবেটিস এর সঠিক চিকিৎসা

0
শক্তির জন্য দেহে শর্করা, আমিষ ও চর্বি জাতীয় খাদ্যের প্রয়োজন। ডায়াবেটিস হলে শর্করা ও অন্যান্য খাবার সঠিকভাবে শরীরের কাজে আসে না। ফলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে ডায়াবেটিস অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে রেখে সু্‌স্থ্যভাবে জীবন যাপন করা যায়।
ডায়াবেটিস কি?
ডায়াবেটিস একটি বিপাক জনিত রোগ। আমাদের শরীরে ইনসুলিন নামের হরমোনের সম্পূর্ণ বা আপেক্ষিক ঘাটতির কারনে বিপাকজনিত গোলযোগ সৃষ্টি হয়ে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং এক সময় তা প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। এই সামগ্রিক অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলে।
ডায়াবেটিস ছোঁয়াচে বা সংক্রামক কোন রোগ নয়। আমরা আমাদের রোজকার জীবনে যতগুলো রোগের নাম আজকাল শুনি তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। ডায়াবেটিস এখন আর চল্লিশোর্ধ মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ত্রিশোর্ধ বয়সের নারী পুরুষ থেকে শুরু করে গর্ভবতী নারী, কিশোর-কিশোরী এমনকি বাচ্চারা পর্যন্ত ডায়াবেটিসের শিকার হচ্ছে। কারণটা কখনো বংশগত আবার কখনো অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। ডায়াবেটিস রোগটি নানারকম হতে পারে।
একে মূলত তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে:
১। টাইপ ১ ডায়াবেটিসঃ এটি এক ধরনের ক্রনিক ডায়াবেটিস। এই ধরণের ডায়াবেটিসকে ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিসও বলা হয়ে থাকে। প্যানক্রিয়াস থেকে যখন খুব কম পরিমাণ ইনসুলিন উৎপন্ন হয় তখন এই ধরনের ডায়াবেটিস দেখা যায়।
লক্ষণঃ
যদিও সঠিক পরীক্ষা ছাড়া ডায়াবটিসের প্রকার বুঝা যায় না। তবে টাইপ ১ ডায়াবেটিসের কিছু প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায়। তা হলঃ
-প্রচুর পানির পিপাসা পায়।
-ক্ষুধা পাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে যায়।
-তলপেটে ব্যাথা করে।
-বারবার প্রসাবের বেগ আসে।
২। টাইপ ২ ডায়াবেটিসঃ এই শ্রেণীর রোগীর বয়স অধিকাংশ ক্ষেত্রে ত্রিশ বৎসরের উপরে হয়ে থাকে। তবে ত্রিশ বৎসরের নিচে এই ধরনের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এই ধরনের রোগীদের শরীরে ইনসুলিন তৈরী হয় তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ঠ নয় অথবা শরীরে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যায়। অনেক সময় এই দুই ধরনের কারণ একই সাথে দেখা দিতে পারে। এই ধরনের রোগীরা ইনসুলিন নির্ভরশীল নন। অনেক ক্ষেত্রে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন এবং নিয়িমিত ব্যয়ামের সাহায্যে এদের চিকিৎসা করা সম্ভব।
লক্ষণঃ
-ওজন বেড়ে যায়।
-হার্টের সমস্যা দেখা যায়।
-শরীর খারাপ লাগে সবসময়।
-সারাক্ষণ ক্ষুধা পায়।
-চোখে দেখতে অসুবিধা হয়।
৩। জেস্টেশনাল ডায়াবেটিসঃ গর্ভধারণের সময় যে ডায়াবেটিস হয় তাকেই জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস বলে। এসময় শরীর আগের মত রক্তকে ব্যবহার করতে পারে না। ফলে এই সময় ব্লাড সুগারের পরিমাণ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেড়ে যায়।বিপদ এড়ানোর জন্য গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়াবেটিসের প্রয়োজনে ইনসুলিনের মাধ্যমে বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। এই ধরনের রোগীদের প্রসব হাসপাতালে করা প্রয়োজন।
লক্ষণঃ
-পানি পিপাসা অনেক বেড়ে যায়।
-দেখতে কিছুটা সমস্যা হয়।
-অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায়।
-ব্লাডার, স্কিন, এবং ভ্যাজাইনাতে ইনফেকশন হতে পারে।
আরও জানতে ক্লিক করুন
সত্যি বলতে কি, ডায়াবেটিস কোন একটি একক রোগ নয়, বরং বলা যায় এটি অনেকগুলো রোগের সমষ্টি (অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি যে, অনেকগুলো রোগ/ত্রুটি/বিকৃতি সম্মিলিতভাবে ডায়াবেটিসের সৃষ্টি করে থাকে)। এই কারণে, একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের প্রয়োজন মানবতার এই ভয়ঙ্কর দুশমনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় তার হাতে থাকা সকল প্রকার অস্ত্র প্রয়োগ করা। যদি ডায়াবেটিসের সাথে সাথে আপনার অন্যান্য রোগও (যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, হাপাঁনি, মেদভূড়ি, বাতের সমস্যা, কিডনী রোগ, হৃদরোগ, স্মায়বিক রোগ ইত্যাদি) সেরে যায়, তবে বিস্মিত হবেন না। কেননা আমাদের হৃৎপিন্ড, ফুসফুস, লিভার, কিডনী, মস্তিষ্ক, পাকস্থলী, স্মায়ু, হরমোন গ্রন্থি, রক্ত, যৌনাঙ্গ, চোখ, হাড় ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর এই এগারটি ঔষধের অনেক ইতিবাচক প্রভাব আছে।
চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করুন
 ডাঃ এস কে দাস
ডিএইচএমএস(ঢাকা)
০১৮১১৮৯৮০৬১

Post a Comment

0 Comments
Post a Comment (0)
To Top