বিকল্প দুধে সবসময়ই রোগজীবানু বহন করার 
ভয় থাকে। কারণ দুধ, নিপল এবং বোতলের সাথে অথবা বিকল্প দুধ তৈরীতে ব্যবহৃত 
পানির সাথে রোগজীবাণু থাকার সম্ভাবনা রয়ে যায়। তাই শিশুর ঘন ঘন অসুখ হয়। 
তাছাড়া এই সময় গরুর দুধ পান করানোটাও উচিত হয়। শিশুর এক বছর বয়সের মধ্যে 
গরুর দুধ পান করালে যে সকল সমস্যা হতে পারে:-
হঠাৎ মৃত্যু :- গরুর দুধের ক্যাসিন প্রোটিন থেকে শিশুর পেটে বোভাইন বিটা ক্যাসোমরফিন-৫ তৈরি হতে পারে। রক্তে এর মাত্রা বেড়ে গেলে শিশুর শ্বাস মাঝে-মাঝে আটকে যায়। এমনকী শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যেতে পারে। ক্রিব রোগ বা হঠাৎ শিশু মৃত্যুর এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ২ হাজার শিশুর একজন এভাবে মারা যায়।
 
রক্তাল্পতা :- গরুর দুধে আয়রন কম থাকায় এবং দুধের ক্যালসিয়াম ও 
ক্যাসিন আয়রন শোষণে বাধা দেওয়ায় গরুর দুধের ওপর নির্ভরশীল ১ বছরের নিচের 
প্রায় সব শিশুই আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতায় ভোগে।
আন্ত্রিক রক্তক্ষরণ :- গরুর দুধের ওপর নির্ভরশীল ১ বছরের কম প্রায় ৪০ শতাংশ শিশুর অন্ত্রে আণুবীক্ষণিক রক্তক্ষরণ হয়।
ডায়াবেটিস :- গরুর দুধে বোভাইন সেরাম এলবুমিন (বিএসএ) থাকে। তা 
শিশুর অপরিপক্ব অন্ত্রের ছিদ্র দিয়ে পরিপাক ছাড়াই সরাসরি রক্তে চলে যেতে 
পারে। রক্তে গেলে এই প্রোটিনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। 
দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই প্রোটিনের গঠনের সঙ্গে শিশুর দেহে ইনসুলিন তৈরিকারী 
বিটা কোষের গাঠনিক প্রোটিন পি৬৯-এর মিল রয়েছে। ফলে অ্যান্টি-বিএসএ 
অ্যান্টিবডি বিটা কোষের বিরুদ্ধে কাজ করে তাকে ধ্বংস করতে পারে। বিটা কোষ 
ধ্বংস হলে বড় হয়ে ওই শিশুই ইনসুলিন নির্ভরশীল ডায়াবেটিসে ভুগতে পারে।
অ্যালার্জি :- গরুর দুধের প্রোটিন আকারে বড় হওয়ায় এবং ১ বছরের নিচের
 শিশুর পরিপাকতন্ত্রের অপরিপক্বতার কারণে এসব প্রোটিন অনেক সময় অ্যামাইনো 
এসিডে রূপান্তরিত না হয়ে ছোট-ছোট প্রোটিন অণুতে পরিণত হয়। এগুলো রক্তে গেলে
 ইমিউনোলজিক্যাল রিঅ্যাকশনে বিভিন্ন অ্যালার্জির উপসর্গ তৈরি করে।
শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ :- ইমিউনোলজিক্যাল রি-অ্যাকশনের কারণে শিশুর 
শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ হতে পারে। ফলে নাক বন্ধ হওয়া, সর্দি-কাশি প্রায়ই লেগে 
থাকে, এমনকী হাঁপানিও হতে পারে। মায়ের দুধ খাওয়া শিশুর তুলনায় গরুর দুধের 
ওপর নির্ভরশীল শিশুর শ্বাসতন্ত্রের অসুখ-বিসুখ হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ১২০ গুণ 
বেশি।
পেটের অসুখ :- গরুর দুধের জটিল প্রোটিন হজম করতে না পারা ও অন্যান্য
 উপাদান, বিশেষত দুধের ল্যাকটোজের প্রতি সহনশীলতার অভাবে প্রায়ই পেটের 
অসুখ-বিসুখ যেমন- পেট ফাপা, ডায়রিয়া, বমি, বদহজম শিশুকে আক্রান্ত করে। 
মায়ের দুধ খাওয়া শিশুর তুলনায় গরুর দুধের ওপর নির্ভরশীল শিশুর পেটের 
অসুখ-বিসুখের আশঙ্কা প্রায় ৪০ গুণ বেশি।
হঠাৎ মৃত্যু :- গরুর দুধের ক্যাসিন প্রোটিন থেকে শিশুর পেটে বোভাইন বিটা ক্যাসোমরফিন-৫ তৈরি হতে পারে। রক্তে এর মাত্রা বেড়ে গেলে শিশুর শ্বাস মাঝে-মাঝে আটকে যায়। এমনকী শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যেতে পারে। ক্রিব রোগ বা হঠাৎ শিশু মৃত্যুর এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ২ হাজার শিশুর একজন এভাবে মারা যায়।
পানিশূন্যতার আশঙ্কা :- গরুর দুধের অতিরিক্ত প্রোটিন ও খনিজ 
পদার্থের কারণে এর ওপর নির্ভরশীল শিশুদের মূত্র তুলনামূলক বেশি ঘন হয়ে 
থাকে। তা অসমোটিক ডাই-ইউরোসিসের মাধ্যমে অতিরিক্ত পানি প্রস্রাব আকারে বের 
করে দেওয়ার প্রবণতা তৈরি করে। এসব শিশু জ্বর ও ডায়রিয়ার সময় অন্য শিশুর 
তুলনায় অতি দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তা তার জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
বিষয়গুলো জানার পর আশাকরি আপনারা অন্তত একবার হলেও ভাববেন আগামী ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। তাছাড়া আমাদের দেশে মায়েরা তাদের বাচ্চাদের কৌটার দুধ পর্যন্ত খাওয়াতে দিধা করেন না। যে গুলো আরো ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে।
বিষয়গুলো জানার পর আশাকরি আপনারা অন্তত একবার হলেও ভাববেন আগামী ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। তাছাড়া আমাদের দেশে মায়েরা তাদের বাচ্চাদের কৌটার দুধ পর্যন্ত খাওয়াতে দিধা করেন না। যে গুলো আরো ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আরও বিস্তারিত জানতে 
Dr. S.k.das
DHMS
01911334810

