ডাঃ এস কে দাস:
স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ কেমন
হওয়া উচিত সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার
আগে প্রথমে আমাদের ব্লাড গ্রুপ
সম্পর্কে কিছু কথা জানা দরকার।
প্রধানত ব্লাড গ্রুপ কে দুই ভাগে ভাগ
করা হয়। একটা হল ABO system (A, B,
AB & O), আরেকটা হল Rh factor {Rh
positive (+ve) & Rh negative(-
ve)}. অর্থ্যাৎ Rh factor ঠিক
করবে ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে।
ব্লাড গ্রুপগুলো হলঃ A+ve, A-ve, B+ve,
B-ve, AB+ve, AB-ve O+ve, O-ve.
জেনে নেয়া যাক, যদি অন্য গ্রুপের ব্লাড
কারো শরীরে দেওয়া হয় তাহলে কী হবে? কেন
টেস্ট করাবেন?
যখন কোন Rh নেগেটিভ গ্রুপের
ব্যক্তিকে Rh পজেটিভ গ্রুপের ব্লাড দেয়া হয়
তখন প্রথমবারে সাধারণত কোন
সমস্যা হবে না। কিন্তু এর বিরুদ্ধে রোগীর
শরীরে এন্টিবডি তৈরী হবে।
ফলে রোগী যদি আবার কখনও পজেটিভ ব্লাড
শরীরের নেয় তাহলে তার ব্লাড cell
গুলো ভেঙ্গে যাবে, এবং মারাত্মক
সমস্যা দেখা দেবে। যেমন জ্বর,
কিডনি ফেইলিউর, হঠাৎ মৃত্যু ইত্যাদি। এই
সমস্যাকে মেডিকেল টার্ম এ বলা হয় ABO
incompatibility।
তাহলে প্রশ্ন
হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ কী রকম
হওয়া দরকার?
যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয়
তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ বা নেগেটিভ
যে কোন একটি হলেই হবে।
কিন্তু স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয়,
তাহলে স্ত্রীকেও পজেটিভ ব্লাড গ্রুপের একজন
হতে হবে। কোনভাবেই স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ
নেগেটিভ হওয়া চলবে না। অর্থাৎ একজন
নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের নারী কেবলই একজন
নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের পুরুষকে বিয়ে করাই
নিরাপদ।
যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় আর
স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয়
তাহলে কী সমস্যা হবে?
রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোন সমস্যা হয় না।
তবে ভিন্ন ব্লাড গ্রুপে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয়
আর স্বামী যদি পজিটিভ হয়, তাহলে সন্তান
জন্মের সময়ে ‘লিথাল জিন’ বা ‘মারন জিন’
নামে একটি জিন তৈরি হয়
যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাঁধা দেয়
বা জাইগোট মেরে ফেলে। সে ক্ষেত্রে মৃত
বাচ্চার জন্ম হয়। যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয়
তাহলে সাধারনত বাচ্চার ব্লাডগ্রুপও পজেটিভ
হবে।
Dr S K Das
M.SC, DHMS(Dhaka)
01811898061
Dr S K Das
M.SC, DHMS(Dhaka)
01811898061