স্বপ্নদোষকে অনেকে আবার "ভেজাস্বপ্ন"
ও বলে থাকেন। স্বপ্নদোষ হলো একজন পুরুষ মানুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের
এক প্রকার অভিজ্ঞতা। গবেষনায় দেখা গেছে কিশোর বয়সে শারীরবৃত্তীয় হরমোনজনিত
পরিবর্তনের কারনে স্বপ্নদোষের সমস্যাটি বেশি পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।
কিন্তু তের থেকে উনিশ বছর বয়সী ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক
বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ একটা ব্যাপার।
স্বপ্নদোষের হওয়ার সাথে যৌন উত্তেজক কোনো স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে
অথবা নাও থাকতে পারে। আবার অনেক সময় পুরুষদের লিঙ্গ উত্থান ছাড়াই
স্বপ্নদোষ ঘটে যেতে পারে। যদিও স্বপ্নদোষ হওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা কিন্তু
এটি যখন অতিরিক্ত পরিমানে হতে থাকে তখন কিন্তু রোগেরই পূর্বাবাস দেয়। আর
সেই সময় স্বপ্নদোষের কারনে পুরুষের নানা প্রকার শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার
সৃষ্টি হতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় হস্তমৈথুন এবং স্বপ্নদোষ আনুপাতিক হারে বিপরীতমুখী।
অর্থাৎ হস্তমৈথুন করলে কিছু কিছু পুরুষের স্বপ্নদোষ হ্রাস পায়। কিন্তু
এটা করা আরো ক্ষতিকর। একসময় হস্তমৈথুন করার অভ্যাসটাই একজন পুরুষের যৌন
জীবন বিপর্যস্থ করে তুলে। অতিরিক্ত হ্স্তমৈথুনের ফলেও কিছু শারীরিক, মানসিক
এবং হরমোনজনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে যা এই ধরনের স্বপ্নদোষকে পুরুষের
স্থায়ী পুরুষত্বহীনতা এবং লিঙ্গত্থানহীনতার মত মারাত্মক জটিল রোগের সৃষ্টি
করতে পারে।
পুরুষের শরীরে বীর্য প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীতে শারীরিক মিলন
বা হস্তমৈথুনের সময় চরম তৃপ্তির পর্যায়ে পুরুষের শরীর থেকে নির্গত হয়ে
থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে পুরুষের টেষ্টষ্টোরেন হরমোন অধিক
পরিমান অর্থাৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত বীর্য তৈরি করে এবং একই সাথে স্পিংটার
পেশী এবং স্নায়ু দুর্বল করে দেয় যার ফলে বীর্য যৌনতন্ত্রে আটকে যায়।
পরবর্তীতে আটকে থাকা বীর্য প্রস্রাবের সাথে কিংবা কোন রকম খারাপ স্বপ্ন
ছাড়া ঘুমের মাঝে শুধুমাত্র বিছানার ঘর্ষনের ফলে নিজ থেকে বেরিয়ে যায়। বীর্য
আটকে থাকার কারনে এবং তা থেকে স্বপ্নদেষের সৃষ্টির কারনে ক্রমশ বেশ
কিছু সম্যসার জন্ম দেয়। যেমন :-
- শারীরিক দুর্বলতা বৃদ্ধি
- লিঙ্গত্থান সমস্যা
- বীর্যের পরিমান হ্রাস
- শুক্রানুর পরিমান কমে যাওয়া
- হাটু, মাজা এবং শরীরের অন্যান্য জোড়ার ব্যাথা
- অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব অনুভুতি ইত্যাদি।
হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা :-
স্বপ্নদোষ যখন সপ্তাহে ১ বারের বেশি এবং মাসে ৫ বারের বেশি হতে থাকে তখন
এটাকে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ বলা হয়ে থাকে। তখন এটার পেছনে কোনো না কোন কারণ
থাকে অর্থাৎ সেই সময় এটা রোগের পর্যায়ে পড়ে যায়। স্বপ্নদোষ যদিও ভয়াবহ
কোনো বিষয় নয় কিন্তু এ অবস্থা চলতে থাকলে একসময় এটা নানা প্রকার শারীরিক,
মানসিক সমস্যার জন্ম দিয়ে থাকে। তাই যখনই বুঝবেন স্বপ্নদোষ অতিরিক্ত
পরিমানে হচ্ছে কাল বিলম্ব না করে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে যোগাযোগ করুন এবং
চিকিত্সা নিন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সেরে উঠবেন ইনশাল্লাহ।