আমরা প্রতিদিনই যুক্তির বিচারে অসংখ্য সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। সকালের খাওয়া থেকে
শুরু করে ক্যারিয়ার সংশ্লিষ্ট বড় পরিবর্তনে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। কিন্তু
মস্তিষ্কের এমন কিছু ঝোঁক বা প্রবণতা রয়েছে যা যৌক্তিক সিদ্ধান্তকে ভুল পথে
পরিচালনা করে। এখানে জেনে নিন এমনই ২০টি মস্তিষ্কের প্রভাব যা সিদ্ধান্তকে
গুলিয়ে দেয়।
১. মানুষ প্রথম পাওয়া তথ্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। যেমন, বেতন নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে প্রথম প্রস্তাবকে ঘিরেই আলোচনা এগিয়ে যায়। একে যৌক্তিক ধরে নিয়েই কথা এগিয়ে যায়।
২. প্রাপ্ত তথ্যের বিষয়ে অনুসন্ধানমূলক হয়ে ওঠে মন। আবার এ কারণে অনেক যুক্তি মানতেও চায় না। যেমন- ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর সবাই জানেন। কিন্তু তখন এমন মানুষের কথা মাথায় আসে যিনি নিয়মিত ধূমপান করেও বহুকাল বেঁচে ছিলেন।
৩. কোনো বিষয়ে একজন মানুষ কতটুকু বিশ্বাস স্থাপন করবে, তার সম্ভাবনা নির্ভর করে কতজন মানুষ বিষয়টি বিশ্বাস করেন। এটা দলবদ্ধ চিন্তার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমে।
৪. নিজের চিন্তার ভুল ধরতে পারাটা মস্তিষ্কের জন্যে কঠিন একটা কাজ। এ কারণে অন্যের ভুল সহজে ধরা পড়লেও একই কাজের সময় নিজেরটা ধরা পড়ে না।
৫. যখন কিছু পছন্দ করবেন, তখন একে নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা মনে চলে আসে।
৬. এলোমেলো ঘটনার যদি নির্দিষ্ট ধারা বুঝতে চান, তবে মনে একটা আন্দাজ চলে আসে। আর তার ওপর ভরসা চলে আসে।
৭. আমাদের আশাবাদকে পুরোপুরি সমর্থন করে এমন তথ্যকেই পেতে চায় আমাদের মন।
৮. আগের কোনো ভুল তথ্য অনেকটা গেঁথে যায় মনে। পরে তা ভুল বলে বুঝতে পারলেও আলোচনায় আগের বিশ্বাস চলে আসে।
৯. বাস্তবায়িত হয় না এমন তথ্য খোঁজার প্রবণতায় ভালো কিছু ঘটে না। কারণ বেশি বেশি তথ্যই যে বেশি সুবিধা দেবে তা নয়।
১০. বাস্তব কিন্তু বিপদজনক ও নেতিবাচক তথ্য এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কাজ করে। অথচ এগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচ্য হতে হবে। কিন্তু এগুলো ধামাচাপা দিতে চায় মন।
১১. সিদ্ধান্ত থেকে কি বেরিয়ে এসেছে, তা দেখে বিচার করা হয় সিদ্ধান্ত কেমন ছিল। এ সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণ, পরিস্থিতি ইত্যাদি বিবেচনায় আসতে চায় না।
১২. অনেকে নিজের দক্ষতা ও সামর্থ্যের বিষয়ে খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী। এরা জীবনে খুব বেশি ঝুঁকি নিয়ে ফেলেন। এ প্রবণতা ক্ষতি ডেকে আনে।
১৩. এটা বিশ্বাস করা হয় যে, আপনি যা চাইছেন তা কোনো এক বিষয় থেকে আসবেই আসবে। এটা মনের বিশ্বাস। এ কারণে ভুল ওষুধেও মনে হয় কাজ ঠিকমতোই হচ্ছে।
১৪. কোনো উদ্ভাবনের উপকারিতা সম্পর্কে যখন অতিরিক্ত আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় তখন ভুল সিদ্ধান্ত চলে আসে।
১৫. সদ্য পাওয়া তথ্যগুলোকে অতি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। অথচ আগের আরো ভারি তথ্যগুলো ওজন হারাতে থাকে। ফলে সিদ্ধান্ত এলোমেলো হয়।
১৬. খুব সহজে বোঝা যায় এমন বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার প্রবণতা সহজাত। ফলে কঠিন বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়।
১৭. দুনিয়াটাকে যেভাবে উপলব্ধি করা হয়, তার সঙ্গে মিল রেখে আশাবাদী হয়ে উঠে আমরা। তখন অন্যের কম প্রাপ্তিকেও বেশি মনে হয়।
১৮. সত্য তথ্য না জোগাড় করেই একটি দল বা ব্যক্তির কাছ থেকে কিছু আশা করা ভুল কাজ। এতে সিদ্ধান্ত ভুল হবেই।
১৯. কেবলমাত্র একটি লক্ষ্যে নিবদ্ধ থেকে আশপাশের বিষয় ভুলে গেলে নানা ভুল সিদ্ধান্ত চলে আসে মাথায়।
২০. আমরা নিশ্চয়তা পেতে চাই। তাই যেকোনো কাজে শূন্য ঝুঁকি দেখতে চাই। এতে সিদ্ধান্ত ভুল হবে।
ডাঃ এস কে দাস
01911334810
১. মানুষ প্রথম পাওয়া তথ্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। যেমন, বেতন নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে প্রথম প্রস্তাবকে ঘিরেই আলোচনা এগিয়ে যায়। একে যৌক্তিক ধরে নিয়েই কথা এগিয়ে যায়।
২. প্রাপ্ত তথ্যের বিষয়ে অনুসন্ধানমূলক হয়ে ওঠে মন। আবার এ কারণে অনেক যুক্তি মানতেও চায় না। যেমন- ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর সবাই জানেন। কিন্তু তখন এমন মানুষের কথা মাথায় আসে যিনি নিয়মিত ধূমপান করেও বহুকাল বেঁচে ছিলেন।
৩. কোনো বিষয়ে একজন মানুষ কতটুকু বিশ্বাস স্থাপন করবে, তার সম্ভাবনা নির্ভর করে কতজন মানুষ বিষয়টি বিশ্বাস করেন। এটা দলবদ্ধ চিন্তার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমে।
৪. নিজের চিন্তার ভুল ধরতে পারাটা মস্তিষ্কের জন্যে কঠিন একটা কাজ। এ কারণে অন্যের ভুল সহজে ধরা পড়লেও একই কাজের সময় নিজেরটা ধরা পড়ে না।
৫. যখন কিছু পছন্দ করবেন, তখন একে নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা মনে চলে আসে।
৬. এলোমেলো ঘটনার যদি নির্দিষ্ট ধারা বুঝতে চান, তবে মনে একটা আন্দাজ চলে আসে। আর তার ওপর ভরসা চলে আসে।
৭. আমাদের আশাবাদকে পুরোপুরি সমর্থন করে এমন তথ্যকেই পেতে চায় আমাদের মন।
৮. আগের কোনো ভুল তথ্য অনেকটা গেঁথে যায় মনে। পরে তা ভুল বলে বুঝতে পারলেও আলোচনায় আগের বিশ্বাস চলে আসে।
৯. বাস্তবায়িত হয় না এমন তথ্য খোঁজার প্রবণতায় ভালো কিছু ঘটে না। কারণ বেশি বেশি তথ্যই যে বেশি সুবিধা দেবে তা নয়।
১০. বাস্তব কিন্তু বিপদজনক ও নেতিবাচক তথ্য এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কাজ করে। অথচ এগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচ্য হতে হবে। কিন্তু এগুলো ধামাচাপা দিতে চায় মন।
১১. সিদ্ধান্ত থেকে কি বেরিয়ে এসেছে, তা দেখে বিচার করা হয় সিদ্ধান্ত কেমন ছিল। এ সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণ, পরিস্থিতি ইত্যাদি বিবেচনায় আসতে চায় না।
১২. অনেকে নিজের দক্ষতা ও সামর্থ্যের বিষয়ে খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী। এরা জীবনে খুব বেশি ঝুঁকি নিয়ে ফেলেন। এ প্রবণতা ক্ষতি ডেকে আনে।
১৩. এটা বিশ্বাস করা হয় যে, আপনি যা চাইছেন তা কোনো এক বিষয় থেকে আসবেই আসবে। এটা মনের বিশ্বাস। এ কারণে ভুল ওষুধেও মনে হয় কাজ ঠিকমতোই হচ্ছে।
১৪. কোনো উদ্ভাবনের উপকারিতা সম্পর্কে যখন অতিরিক্ত আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় তখন ভুল সিদ্ধান্ত চলে আসে।
১৫. সদ্য পাওয়া তথ্যগুলোকে অতি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। অথচ আগের আরো ভারি তথ্যগুলো ওজন হারাতে থাকে। ফলে সিদ্ধান্ত এলোমেলো হয়।
১৬. খুব সহজে বোঝা যায় এমন বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার প্রবণতা সহজাত। ফলে কঠিন বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়।
১৭. দুনিয়াটাকে যেভাবে উপলব্ধি করা হয়, তার সঙ্গে মিল রেখে আশাবাদী হয়ে উঠে আমরা। তখন অন্যের কম প্রাপ্তিকেও বেশি মনে হয়।
১৮. সত্য তথ্য না জোগাড় করেই একটি দল বা ব্যক্তির কাছ থেকে কিছু আশা করা ভুল কাজ। এতে সিদ্ধান্ত ভুল হবেই।
১৯. কেবলমাত্র একটি লক্ষ্যে নিবদ্ধ থেকে আশপাশের বিষয় ভুলে গেলে নানা ভুল সিদ্ধান্ত চলে আসে মাথায়।
২০. আমরা নিশ্চয়তা পেতে চাই। তাই যেকোনো কাজে শূন্য ঝুঁকি দেখতে চাই। এতে সিদ্ধান্ত ভুল হবে।
ডাঃ এস কে দাস
01911334810